ইরেকশন একটি নিউরোভাস্কুলার প্রক্রিয়া, যার জন্য পুরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে স্নায়ুকেও সচল থাকতে হয়। এক্ষেত্রে নার্ভ বা স্নায়ুর ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। যৌন উত্তেজনার সময় স্নায়ু সংকেত পাঠায়। যার ফলে লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়ে। এই রক্ত দু’টি ফাঁপা প্রকোষ্ঠে জমা হয় যা কর্পোরা ক্যাভেরনোসা নামে পরিচিত। এই দুই প্রকোষ্ঠে রক্ত জমা হলেই তা লিঙ্গকে প্রসারিত করে এবং শক্ত করে তোলে। যা মর্নিং উড ( Morning wood) নামে পরিচিত। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় Nocturnal Penile Tumescence। এর সঙ্গে কিন্তু কামোত্তেজনা বা স্বপ্নদোষের কোনও যোগসূত্র নেই। এটি খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যে সব পুরুষের সকালে ইরেকশন (Morning Glory) হয়, তাঁদের মধ্যে হার্ট অ্যার্টক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনাও ২২ শতাংশ কমে যায়। রাতের বেলা ইরেকশন হওয়ার লক্ষণ কিন্তু শরীরে ভাল রক্ত সঞ্চালনের ইঙ্গিতই দেয়।
ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটি লিউভেনের এন্ডোক্রিনোলজির সহকারী অধ্যাপক ডাঃ লিন আন্তোনিও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাঁদের ইরেকটাইল ডিসফাংশন (Erectile dysfunction) অর্থাৎ লিঙ্গ-উত্থান জনিত কোনও সমস্যা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও বেশি। এছাড়াও তাদের হার্ট দুর্বল হয়। ৪০ বছরের পর এই সমস্যা বেশি দেখা যায় ছেলেদের মধ্যে। সকালে লিঙ্গ উত্থিত না হওয়ার কারণ শরীরের জটিল সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এর অর্থ ধমনী ঠিকমতো কাজ করছে না। যে কারণে শরীরের সর্বত্র সঠিক পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। আর এই সমস্যা থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যার্টাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি, অবিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে।