প্রস্রাব করার পর ভালো করে ঢিলা ব্যবহার করা সত্ত্বেও বারবার মনে হতে থাকে— মূত্রফোঁটা বের হয়েছে। নামাজে রুকুতে বা সিজদায় যাওয়ার সময় এমনটা খুব হয়। কিন্তু যাচাই করে কিছুই পাই না। জানার বিষয় হলো- এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী? আর নামাজে মূত্রফোঁটা বের হলে কি নামাজ ভেঙে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর হলো- প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জনের পর সেখানে কিছু পানি ছিটিয়ে দেওয়া। তারপর আর যাচাই করতে না যাওয়া এবং নামাজে দাঁড়িয়ে মূত্রফোঁটা আসল কি না— সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নামাজ চালিয়ে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে এক লোক তার এই সমস্যার কথা জানালে— তিনি তাকে এমনটি করতে বলেন এবং তাকে এই আদেশ দেন যে, ‘তুমি ওযু করার পর তোমার লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে নেবে। অতঃপর যদি আর্দ্রতা অনুভব হয়— তবে সেটাকে তোমার ছিঁটানো পানির আর্দ্রতা বলে মনে করবে।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা : ৫৮৩) সুতরাং আপনিও এভাবে পবিত্রতা অর্জন করবেন এবং নামাজ আদায় করবেন। আর ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহকে মোটেও মনে স্থান দেবেন না। তথ্যসূত্র : মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, বর্ণনা : ৫৯৫; কিতাবুল আছল : ১...
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানী নেপিদোর একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তথ্য অফিস থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এপির। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন মিন্ট সোয়ে। গত বছরের জুলাই মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছিল, স্নায়বিক রোগ ও পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিতে ভুগছিলেন তিনি। এসব কারণে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছিলেন না, এমনকি খাবার খাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছিল তার জন্য। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের শেষদিক থেকে তিনি নেপিদোর সামরিক হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এরপর থেকেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সুচিকে হঠানোর পর জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মিন্ট সোয়ে। সে সময় নির্বাচিত সরকারপ্রধান অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মিন্ট সোয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ...