Eye Care: অনেক সময়ই হাত দিয়ে চোখ ঘষলে আমাদের চোখের উপরে সুতোর মতো সাদা সাদা কিছু পদার্থ ভেসে উঠতে দেখা যায়। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে, চোখের উপরে কোনও কৃমি জাতীয় কীট ভেসে বেড়াচ্ছে।
প্রাণী দেহ অনেক ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত। শরীরের গঠন রহস্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছেন। তাঁরা জানতে চান কীভাবে মানবদেহ কাজ করে। এই গবেষণা থেকেই পরে বিভিন্ন রোগ এবং তার নিরাময় ও নতুন ধরনের কোষ আবিষ্কার করেছেন এই বিজ্ঞানীরা। আমাদের শরীরের ভিতরে নানা রকম মজার ঘটনা ঘটে চলে নিরন্তর। তেমনই একটি ঘটনার কথা বলা যাক।
অনেক সময়ই হাত দিয়ে চোখ ঘষলে আমাদের চোখের উপরে সুতোর মতো সাদা সাদা কিছু পদার্থ ভেসে উঠতে দেখা যায়। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে, চোখের উপরে কোনও কৃমি জাতীয় কীট ভেসে বেড়াচ্ছে। আগে একে এক ধরনের রোগ বলে মনে করা হত। কিন্তু ঘটনা হল, আমরা যখনই আমাদের চোখ ঘষি তখন চোখে ভিতরে অবস্থিত শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা দেখতে পাই। একেই আমরা কৃমিজাতীয় কোনও পদার্থ ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রায় প্রতিটি মানুষই যখন চোখ ঘষেন তখন এই সাদা পদার্থটি দেখতে পান। দেখতে এই জিনিসটি খানিকটা সুতোর মতো আকৃতির। অনেকেই মনে করেন চোখের ভিতর বোধহয় কোনও কৃমি জাতীয় পদার্থ রয়েছে। অনেক সময়ই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা আরও বেশি জোরে চোখ ঘষতে শুরু করি। তাতে এই সুতোর মতো জিনিসগুলি আরও বেড়ে যায়। তাই ঘাবড়ে যান অনেকে।
চোখের উপরে ভাসমান এই তন্তুগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম আই ফ্লোটার। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে, চোখের এই ভাসমান তন্তুগুলি আসলে আমাদের শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা। এরা দেখতে অনেকটা পরজীবীর মতো। কিন্তু বাস্তবে এগুলি দেহের কোষ মাত্র।
শ্বেত রক্তকণিকা মানবদেহকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্ষত নিরাময়েও এটির খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানবদেহে এসব কোষের ঘাটতি হলে তা থেকে নানা ধরনের রোগ হতে পারে।