আল্লাহ মানুষের জীবনকে সুদিন ও দূরদিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। সুদিনে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত, আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। মহান আল্লাহ কোরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, “হে মুমিনরা, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য কামনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।”
পবিত্র কোরআনের সূরা ওয়াকিয়া নিয়মিত পাঠ করলে সংসারের অভাব দূর হয়। এটি ৫৬তম সূরা, মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে ৯৬টি আয়াত রয়েছে। সূরায় কেয়ামত, আখিরাত, মানুষের ভাগ্য, জান্নাত, জাহান্নাম এবং আল্লাহর বিচার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওয়াকিয়া শব্দটির অর্থ “ঘটনা”, যা কেয়ামতের দিন সংঘটিত বিপর্যয় বর্ণনা করে।
পাঠ করলে দারিদ্র্য কখনো গ্রাস করতে পারে না। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহা) তার মেয়েদের প্রতি প্রতিদিন রাতের সময় সূরা ওয়াকিয়ার তেলাওয়াত করতে আদেশ করতেন। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে এই সূরা পাঠ করবে, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করতে পারবে না।
ইসলামিক গবেষকরা বলেন, সূরাটি মাগরিবের নামাজের পর পাঠ করা উত্তম, কারণ রাতের ও সন্ধ্যার সময় আল্লাহর জিকিরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে রাতের যে কোনো সময়ও পাঠ করা সম্ভব।